লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন লাগোয়া ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে রবিউল ইসলাম সুমন নামে এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ এটি উদ্ধার করেছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বিএসএফের সহায়তায় ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ নিয়ে যায়।
মরদেহটি ভারতীয় নাগরিকের শনাক্ত হয়েছে তার জন্য ভারতীয় পুলিশ তাকে নিয়ে যান।
সকালে সীমান্তের ৮৫৬ নম্বর মেইন পিলার সংলগ্ন ভারতের দারিকামারী এলাকায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবিকে খবর দেন।
মারাঠি উঠে এভাবে পড়লে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দিলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসেন।
বিজিবি সীমান্তে মরদেহ পড়ে থাকার বিষয়টি বিএসএফকে জানায়। মৃত ব্যক্তি (রবিউল ইসলাম সুমন) তাদের দেশের নাগরিক নয় বলে বিজিবিকে জানায় বিএসএফ।
যদিও বিষয়টি পরে তারা কনফার্ম হয়েছে যে এটি তাদের দেশের এক নাগরিকের মরাদেহো।
পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক বলে বিজিবি জানালে বিকেল ৩টার দিকে বিএসএফের সহায়তায় ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ নিয়ে যায়।
তাদের আইডেন্টিফাই করতে সমস্যা হওয়ার কারণগুলো তারা এখনো জানায়নি তবে তারা যদিও পরবর্তীতে আইডেন্টিফাই করতে সক্ষম হয়েছেন।
রবিউল ইসলাম সুমন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার জামালদহ গ্রামের বাসিন্দা। তিনিও এলাকায় বড় হয়েছে এবং তিনি ওখানেই বেড়ে উঠেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সীমান্তের একাধিক বাসিন্দা জানান, মৃত ভারতীয় নাগরিকের শরীরে মারপিট ও নির্যাতনের দাগ আছে।
তাহলে কে তাকে এভাবে মারপিট করেছেন এ বিষয়ে জানতে টিম গঠন করা হয়েছে।
তাকে বিএসএফ বা অন্য কেউ নির্যাতন করে মেরে ফেলে মরদেহ বাংলাদেশের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাধানাথ সীমান্ত এলাকার কাছে রাখে।
সম্পূর্ণ বিষয়টি আরও সুন্দরভাবে সামনে উত্থাপন করার জন্য টিম গঠন করা হয়েছে এবং সত্যি ঘটনা সামনে তুলে আনার জন্য এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।