পর্তুগালকে হারিয়ে ইতিহাসটা ইতোমধ্যেই লেখা হয়ে গেছে মুসলিম দেশ মরক্কোর হাকিমি । তবে রূপকথার আকাশে বিশ্বকাপে এখনও থামেনি আফ্রিকান মুসলিম দেশ মরক্কোর দৌড়।
সেমির লড়াইয়ে এবার তাদের সামনে প্রতিপক্ষ ফ্রান্স দেশটি। শক্তির লড়াইয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা নিঃসন্দেহে যোজন-যোজন এগিয়ে রয়েছে যা ভক্তরা ভালো মতই জানে।
তবে নামিদামি সব দলকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠা মরক্কোও যে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বলে দর্শকদের দাবি।
তবে এরা দর্শকদের যেভাবে মাতাচ্ছেন তাতে এদের বিজয় জন্য নিশ্চিত।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনটি অঘটন ঘটিয়েছে মুসলিম দেশ মরক্কো।
গ্রুপ পর্বে বেলজিয়ামকে হারানোর পর শেষ ষোলতে স্পেনের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে আফ্রিকান ডার্ক হর্সরা। যদিও এটা দর্শকদের জন্য অনেক বেশি কষ্টদায়ক ছিল।
সবশেষ তারা হারাল পর্তুগালকে। কাঁদতে কাঁদতে বিদায় নিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
তবে রোলানদোর এই কান্না যেন তার ভক্তদের মাঝে ইতিহাস হয়ে থাকবে কেননা এটি ছিল তার জীবনের শেষ বিশ্বকাপ।
রোলানদোর কথা যদি বলতেই হয় সে ক্ষেত্রে তাঁর না খেলার এই চরিত্র ভক্তদের মাঝে অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে ওঠে।
উদযাপন যতোই হোক, মাঠের লড়াইটাকে কোনোভাবেই সহজ করে দেখছে না মুসলিম দেশ মরক্কানরা।
সুযোগও নেই বটে, প্রতিপক্ষের আছে তারকার লম্বা লাইন।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা কিলিয়ান এমবাপে।
ক্লাব পর্যায়ে মরক্কোর খেলোয়াড় আশরাফ হাকিমি র সঙ্গে একই ক্লাব পিএসজিতে খেলেন তিনি। হয়তো এটাই ছিল তাদের দুর্বলতা।
এক ক্লাবের হয়ে খেলায় দীর্ঘদিন ধরে একসাথে খেলেছেন এমবাপে ও হাকিমি ।
দুজনেই জানেন একে অপরের দুর্বলতা ও শক্তির জায়গা। একজন খেলেন ফরোয়ার্ড লাইনে আরেকজন রাইট ব্যাক।
তাই সেমির লড়াইয়ে যে হাকিমি র দায়িত্ব থাকবে এমবাপেকে থামানো সেটা অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
এখন দেখার বিষয় মুসলিম দেশ মরক্কো কতটা এগোতে পারে ফাইনালে গিয়ে।